পাগলা মসজিদের সিন্দুকে মিলল প্রায় ৬.৫ কোটি টাকা

Date: 2023-12-10
news-banner

নিউজ ডেস্কঃ সকাল আটটা হতে ২২০জন লোক নিয়ে দিনভর গণনা শেষে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার মিলেছে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। এটা দানবাক্স থেকে একসঙ্গে পাওয়া সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা।


পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ রাত সাড়ে ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন


শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পাগলা মসজিদের নয়টি সিন্দুক খুলে মেলে ২৩ বস্তা টাকাসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। ৩ মাস ২০ দিন পর খোলা হয় পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকগুলো। সকাল থেকে রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা, মাদ্রাসার ১৩৪ জন খুদে শিক্ষার্থী, মাদ্রাসার ১০ জন শিক্ষক ও পাগলা মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২২০ জন গণনার কাজে অংশগ্রহণ করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেষ হয় এ গণনা।


কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীতীরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে নয়টি লোহার দানসিন্দুক আছে। প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপর এই সিন্দুকগুলো খোলা হয়।


শেষবার গত ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন পাওয়া গিয়েছিল। ২৩ বস্তায় রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা।


নগদ টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।


কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের নেতৃত্বে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে সাতটায় আটটি দানসিন্দুক খুলে ২৩ বস্তায় প্রচুর টাকা পাওয়া গেছে। প্রথমে টাকাগুলো লোহার সিন্ধুক থেকে বস্তায় ভরা হয়। পরে মেঝেতে ঢালা হয়। পরে চলে গণনা।


সিন্দুক খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়াসহ মসজিদ কমিটির অন্য সদস্যরা।

image

Leave Your Comments