ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভূমিকম্পের ৭ম দিনেও এখনও প্রাণের অস্তিত্ব মিলছে ধ্বংসস্তূপের নিচে। অনেক অলৌকিক ঘটনা সামনে আসছে। তুরস্কের হাতায়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে ১২৮ ঘণ্টার পর দুই মাস বয়সি একটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দুই দেশে মৃত্যু বেড়ে ৩০ হাজারে পৌঁছেছে। প্রায় দশ হাজার ভবন ধসে পড়েছে। শত শত আফটার শক হয়েছে। গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ও দুপুরে ৭.৮ ও ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। খবর এনডিটিভির |
তুরস্কের হাতায়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই মাস বয়সি শিশুকে উদ্ধারের সময় জনতা হাততালি দেয় ও উল্লাস করে। ভূমিকম্পের প্রায় ১২৮ ঘণ্টা পর শিশুটিকে জীবিত পাওয়া যায়।
হিমশীতল আবহাওয়া সত্ত্বেও হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী এখনও সমতল এলাকাগুলোর মধ্যে দিয়ে ছুটছেন। এখন হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন এবং বাঁচার আশা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পর যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন দুই বছর বয়সী মেয়ে, একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং একজন ৭০ বছর বয়সী নারী রয়েছেন।
এই ভূমিকম্প শতাব্দীর বিশ্বের সপ্তম মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসাবে স্থান পেয়েছে। ২০০৩ সালে প্রতিবেশী ইরানে ভূমিকম্পে ৩১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের সাহায্যকারী সংস্থা ইউএন এইড এর প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস।
মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, 'আমি মনে করি সঠিকভাবে অনুমান করা কঠিন। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচের অবস্থা সম্পর্কে তেমন কিছুই আমরা জানি না। তবে আমি নিশ্চিত যে এই সংখ্যা দ্বিগুণ বা তারও বেশি হবে। এটা ভয়ংকর।'
গ্রিফিথস তুরস্কের প্রতি আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রতিক্রিয়াকে 'অসাধারণ এবং হৃদয়গ্রাহী' বলে প্রশংসা করেছেন। যদিও সিরিয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেকটাই আলাদা। দেশটি বছরের পর বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে সাহায্য পেতে অসুবিধায় পড়েছে।