আগামী ২৭ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। এই ইশতেহার ঘোষণার আগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নিয়ে তরুণদের ভাবনা, চাওয়া জানতে সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
এতে বলা হয়, আগামী ২৭ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। বিগত প্রতিবছরের মতোই এবারও ইশতেহারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তরুণদের। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণে তরুণদের ভাবনা ও তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো জানতে সরাসরি বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা তরুণ সংগঠক ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করে যাওয়া তরুণদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্মাণের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে তাদের বিভিন্ন পরামর্শ শুনেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগেও তরুণদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। সরাসরি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। এবারও তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি তিনি জেনেছেন, বর্তমান প্রজন্মের এই প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী হলে দেশ গঠনে কি ধরনের উদ্যোগ নেবেন। বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
লেটস টক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনায় তরুণরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই আলোচনার পর তারাও নিজেদের দেশের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের অংশ বলে নিজেদের মনে করছেন। তারা বিশ্বাস করেন, সামনে ইশতেহার ঘোষণায় তাদের দেওয়া পরামর্শগুলো বেশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে দেশ গঠনে কাজ করে যাওয়া ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য সুনাম নিয়ে আসা প্রায় তিনশ তরুণ অংশ নেন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, পররাষ্ট্র নীতি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু থেকে শুরু করে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন এবং সেখানে তরুণদের ভূমিকা কি হবে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
নারীর নিরাপত্তা, নারী ক্ষমতায়নে তাদের চাকরির পরিবেশ তৈরিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো এবং সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা ও আমাদের করণীয় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তরুণদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার, নারীর অধিকার, প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে এই গোষ্ঠীগুলোর উন্নয়নে সামনে সরকার আরও কি কি পদক্ষেপ নিতে পারে এ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে তরুণদের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের মধ্য থেকে আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা দেখতে পাচ্ছি। আশা করি, এখান থেকেই কেউ একজন হবেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে ২০১৮ সালে লেটস টক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো তরুণদের মুখোমুখি হয়ে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের এই আয়োজনটি আগামী সপ্তাহে সরাসরি ব্রডকাস্ট করা হবে বলে জানান আয়োজকরা। সেখানেই জানা যাবে তরুণদের এসব প্রশ্নের উত্তরে কি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জানা যাবে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার অনেক অজানাবিষয়ক তথ্য।
অনুষ্ঠানটি কবে সম্প্রচার হবে এ বিষয়ে জানতে সিআরআই ও ইয়াং বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে চোখ রাখতে বলেছেন আয়োজকরা।