ঢাকার বায়ুমানে তেমন উন্নতি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দশে থাকা ঢাকার বাতাসের মান আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন বায়ুদূষণের শীর্ষে নাম এসেছে বাংলাদেশের রাজধানীর।
বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক অনুযায়ী, সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় ২৪৪ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা। অর্থাৎ এখানকার বায়ু ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। শহরটির স্কোর ২৩২। অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও খুবই অস্বাস্থ্যকর। সূচকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের চেংদু। শহরটির স্কোর হচ্ছে ২১৬। মানে সেখানকার বায়ুর মানও খুবই অস্বাস্থ্যকর। এছাড়া ২১৪ স্কোর নিয়ে ভারতের দিল্লি চতুর্থ এবং ঘানার আক্রা ২০৯ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।