বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২০ ডিসেম্বর বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন। আবেদনে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।
আগের দিন ১৯ ডিসেম্বর সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অপরপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
এর আগে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কর্নেল জাহিদ ফারুক।
তার আগে ১৮ ডিসেম্বর সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি আবু তাহের সাইফু র রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রশ্নে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা রিটের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
গত ১৫ ডিসেম্বর বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে এই রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন একই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কর্নেল জাহিদ ফারুক।
অন্যদিকে জাহিদ ফারুক মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিলের আপিল করেছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ। সেই আপিল নামঞ্জুর করা হয়। ফলে জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বহাল থাকে।