ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যা মামলায় বাংলাদেশের সমর্থন

Date: 2024-01-15
news-banner
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত বা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ। রোববার (১৪ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ইস্যুতে ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা যে কার্যক্রম শুরু করেছে, বাংলাদেশ সেই আবেদনের সমর্থনে দক্ষিণ আফ্রিকার পাশে দাঁড়িয়েছে।

ওই বিবৃতিতে গাজায় চলমান ইসরায়েলি সবধরনের সামরিক অভিযান স্থগিত করা ছাড়াও গাজায় নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তার অনুমতি দেয়ার যে অনুরোধ দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে, বাংলাদেশ সেটিতেও সমর্থন দিয়েছে। এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় উদ্ভূত মানবিক বিপর্যয় শেষ করার জন্য এই অস্থায়ী ব্যবস্থাগুলো ও অন্যান্য দৃঢ় পদক্ষেপ উভয়ই প্রয়োজন। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ যথাসময়ে কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের ঘোষণা দাখিল করার সুযোগকে স্বাগত জানায়।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার বিষয়টি উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর চলমান আক্রমণে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী। বাংলাদেশ এই ইচ্ছাকৃত আগ্রাসনকে গণহত্যা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট অবজ্ঞা ও লঙ্ঘন বলে মনে করে। 

বিবৃতিতে গণহত্যা কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তির জন্য গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করার জন্য সব রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায়। এছাড়াও গাজায় দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও গাজায় জীবন রক্ষাকারী সহায়তার দ্রুত, নিরাপদ এবং বাধাহীন বিধানের জন্য আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের দখলদারত্বের অবসান ও একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য তার পূর্ববর্তী আহ্বানগুলোকেও আবারও ব্যক্ত করে। 

বাংলাদেশ ১৯৬৭ সালের আগে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের যে সীমানা ছিল, সেটাকে ধরে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে সমর্থন করে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
image

Leave Your Comments