পিঠাপুলি তৈরির সহজ রেসিপি
Date: 2024-01-28
শীতের সকাল মানেই মজার মজার পিঠা দিয়ে দিন শুরু করা। শীতকালই মূলত পিঠা খাওয়ার আসল সময়। শীতের সকালে ধোয়া উঠা দুধ চিতই, ভাঁপা পিঠা কিংবা পাকান পিঠা দিয়ে নাস্তা না করলে শীতের আমেজটা পাওয়া যায় না। শহরে বসবাস করা অনেক মানুষ এই শীতকালে গ্রামের বাড়ি যায় মূলত পিঠার স্বাদ নিতে। তেমনই সুস্বাদু এক পিঠা হলো দুধ পুলি পিঠা। প্রত্যেক বাঙালির রসনার একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ এই পুলি পিঠা বা পিঠেপুলি। তেলে ভেজে কিংবা সিদ্ধ করে নানা উপকরণ মিশিয়ে ভিন্ন স্বাদের রয়েছে নানা ধরনের পুলি পিঠা। নিজেই পরিবারের জন্য বা প্রিয় মানুষটির জন্য চাইলে খুব সহজে ঘরেই তৈরি করতে পারবেন জিভে জল আনা এই পিঠা। চলুন তাহলে জেনে নিই পিঠা পুলির রেসিপি।
পুলি পিঠা তৈরী করতে যা যা লাগবে?
১) চালের গুঁড়া: আড়াই কাপ
২) ময়দা: আধা কাপ
৩) পানি: দেড় কাপ
৪) লবণ: আধা চা চামচ
৫) ঘি: আধা চা চামচ
৬) তরল দুধ: দেড় কেজি
৭) চিনি বা গুড় স্বাদমতো ; ন্যূনতম এক কাপ
৮) গুঁড়াদুধ: প্রয়োজন অনুসারে
৯) কনডেন্সড মিল্ক: প্রয়োজনমতো
১০) নারিকেল কোরানো: দেড় কাপ
১১) এলাচ: ২/৩টি
কিভাবে তৈরী করবেন মাজাদার পুলি পিঠা?
প্রথমে নারিকেলের সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় চামচ চিনি দিয়ে ফ্রাইপ্যানে সাত থেকে আট মিনিট ভেজে উঠিয়ে নিন। অন্য রকম স্বাদ পেতে চাইলে চিনির বদলে নতুন গুড়ও দিতে পারেন।
এবার অন্য একটি পাত্রে তরল দুধের সঙ্গে গুঁড়াদুধ, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক আর এলাচ মিশিয়ে জ্বাল দিন। পিঠা বানানো হতে হতে দুধ খুব সুন্দর জ্বাল হয়ে হালকা রং হবে। এখন অন্য পাতিলে পানির সঙ্গে লবণ এবং ঘি একসঙ্গে দিয়ে গরম করুন। ফুটানো পানির সঙ্গে চালের গুঁড়া ও ময়দা একসঙ্গে দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়ে খামির প্রস্তুত করে ফেলুন। রুটি বানানোর পিঁড়িতে গরম গরম খামির খুব ভালো করে মথে নিন।
এখন খামিরটা ১০ ভাগ করুন। এক একটি ভাগ দিয়ে ছোট ছোট রুটি বেলে অথবা হাত দিয়ে চেপে পাতলা করে ভিতরে নারিকেলের পুর দিয়ে পুলি পিঠা প্রস্তুত করুন। এভাবে সব পিঠা তৈরি করে নিন। এখন বানানো পুলি পিঠা, ফুটিয়ে রাখা দুধের মধ্যে দিয়ে চুলার আঁচ কম রেখে ১০ মিনিট রান্না করে ফেলুন।
হাঁড়ি আস্তে ঝাঁকিয়ে পিঠার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে নিন। ১০ মিনিট রান্নার পর কোরানো নারিকেল দিয়ে আরও দুই থেকে তিন মিনিট রান্না করে নামিয়ে পাত্রে ঢেলে পরিবেশন করুন মজাদার দুধ পুলি পিঠা। চাইলে দুধে চিনির পরিবর্তে গুড় ও ব্যবহার করতে পরেন। এতে পিঠার স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
এবার গরম গরম পরিবেশন করুন সু-স্বাদু চমৎকার এই দুধ পিঠাপুলি। আর উপভোগ করুন অমৃত স্বাদ।
