দৈনিক গ্যাসের ঘাটতি প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট: প্রতিমন্ত্রী

Date: 2024-02-25
news-banner
চাহিদার বিপরীতে দেশে দৈনিক গ্যাসের ঘাটতি প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান তিনি। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে দৈনিক প্রায় ২ হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। চাহিদার বিপরীতে দেশে উৎপাদিত গ্যাসের সঙ্গে দৈনিক প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট সমতুল্য আমদানিকৃত এলএনজি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে চাহিদার বিপরীতে গ্যাসের ঘাটতি প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।

বিদ্যমান ঘাটতি এবং ভবিষ্যতে গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি বিভিন্ন ধরনের কূপ খনন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, যার সফল বাস্তবায়নে গড়ে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে ১০টি কূপের খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে, যার মাধ্যমে দৈনিক ১১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দৈনিক ৩৩ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

নসরুল হামিদ বলেন, দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটির সক্ষমতা সম্প্রতি দৈনিক ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে এলএনজি সরবরাহের মোট সক্ষমতা দৈনিক ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলোর গ্যাস অনুসন্ধান, উৎপাদন, ভবিষ্যতে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আনকনভেনশনাল রিসোর্স  থেকে গ্যাস উত্তোলন, সাগরে গ্যাস অনুসন্ধান, এলএনজি আমদানি ও পাইপলাইনে গ্যাস আমদানির বিষয়াদি বিবেচনা করে ২০৪০-৪১ অর্থবছর পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস উৎপাদন প্রক্ষেপণ করা হয়েছে।

প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০৩০-৩১ অর্থবছরে দৈনিক ৪ হাজার ৬০৮ মিলিয়ন ঘনফুট ও ২০৪০-৪১ অর্থবছরে দৈনিক ৫ হাজার ২৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করা যায় বলে জানান নসরুল হামিদ।

এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিপিসি পরিশোধিত জ্বালানি তেলের মোট আমদানির পরিমাণের ৫০ শতাংশ জিটুজি এবং ৫০ শতাংশ আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করে থাকে। বর্তমানে বিপিসি ৬টি দেশের (ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া) রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জিটুজি ভিত্তিতে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, দেশে ২৩ হাজার ১৫৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪১টি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১১ হাজার ৩০৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন এবং দরপত্র প্রক্রিয়াধীনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
image

Leave Your Comments