বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল জাতিসংঘ

Date: 2023-10-17
news-banner
বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতিসংঘ। সোমবার (১৬ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসংঘ।
নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই আমরা। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আমরা এমন একটি পরিবেশ দেখতে চাই, যেখানে মানুষজন যে কোনো পক্ষে কথা বলতে পারবে প্রতিশোধের ভয় ছাড়া। এ ছাড়া ম্যান্ডেট না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না জাতিসংঘ।
বাংলাদেশি এক সাংবাদিক এক প্রশ্নে তার কাছে জানতে চান- বাংলাদেশের নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবে না। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক টিমের মূল্যায়নে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভয়েস অব আমেরিকার ইংরেজি সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, সব রকম উপায়েই বর্তমান বিরোধী দলকে আক্রমণ করে যাচ্ছে শাসকগোষ্ঠী। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জেনেছি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অবস্থান সম্পর্কে জেনেছি। বর্তমান এই নিষ্পেষণমূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতিসংঘের সর্বশেষ অবস্থান কি? তার এ প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মুখপাত্র উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
এর আগে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, যুক্তরাষ্ট্র কোনো দলের সমর্থনে বাংলাদেশের নির্বাচন ‘প্রভাবিত করতে চায় না’, বরং বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া ‘একই’- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
গত মে মাসের শেষে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। জানানো হয়, বাংলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গত ২২ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে জানান, তার দেশ সেই ভিসা নীতির প্রয়োগ শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন এর আওতায়। এসব ব্যক্তির পাশাপাশি তাদের পরিবারের নিকটতম সদস্যরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ‘অযোগ্য’ বিবেচিত হতে পারেন।
তবে, কতজন ব্যক্তি বা কাদের বিষয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস চ্যানেল 24-কে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আগামীতে’ গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে।
image

Leave Your Comments