কোরবানির গোশত জমিয়ে রাখা কি জায়েজ?

Date: 2024-06-19
news-banner
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দেয়া হয়। কোরবানি ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় ইবাদত। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস। নবীজি হিজরতের পর প্রতি বছর কোরবানি করেছেন।

প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী মুকিম ব্যক্তি, যে ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব হবে। নেসাব হলো: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি। আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন  ভরি। আর অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের সম্পদ।

মদিনার প্রথম যুগে খাদ্যের সংকট ছিল। তখন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে কোরবানির গোশত তিন দিনের বেশি জমিয়ে রাখতে নিষেধ করেছিলেন। পরে যখন অভাব কমে গেল তখন আবার সংরক্ষণ করে রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন।
 
হাদিসে আছে, হজরত জাবির (রা.) বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন দিনের পর কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন। এরপর (অবকাশ দিয়ে) বললেন, খাও, পাথেয় হিসেবে সঙ্গে নাও এবং সংরক্ষণ করে রাখ। (মুসলিম ১৯৭২)
 
অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তিন দিনের পর কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলাম, যেন সচ্ছল ব্যক্তিরা অসমর্থদের তা উদারভাবে দিতে পারে। এখন তোমরা যা ইচ্ছা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখতে পার।  (তিরমিজি ১৫১০)

কোরবানি একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দিতে হয়। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে না পৌঁছে তাদের গোশত আর না তাদের রক্ত, বরং তার কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর তাকবির বল যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন। যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে তাদেরকে সুসংবাদ দিন। (সুরা হজ ৩৫)  

মনে রাখতে হবে, মহান আল্লাহ বলেন, আল্লাহর কাছে না পৌঁছে তাদের গোশত আর না তাদের রক্ত, বরং তার কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা কারণে আল্লাহর তাকবির বল যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন। যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে তাদেরকে সুসংবাদ দিন। (সুরা হজ ৩৫)
image

Leave Your Comments