ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেন, ‘প্রথমে (হামাসকে) সব জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে, তারপর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ উঠতে পারে।’
এ প্রসঙ্গে আর বিস্তারিত কিছু বলেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চলায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। বুলডোজার দিয়ে সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে শত শত সশস্ত্র হামাস যোদ্ধা।
ইসরায়েলে ঢুকে নির্বিচারে বেসামরিক লোকজনদের হত্যার পাশাপাশি ওই দিনই ২ শতাধিক ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় যোদ্ধারা।
এদিকে হামাস হামলা চালানোর পর ওই দিনই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় গাজার বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং, যা উপত্যকার ‘লাইফ লাইন’ নামে পরিচিত।
ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। অন্যদিকে গত ১৭ দিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ জন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ২ হাজার ৫৫ জন এবং নারী রয়েছেন ১ হাজার ১১৯ জন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বাইডেনকে ৬০ হলিউড তারকার বার্তা
অস্কারবিজয়ী অভিনেতা জোয়াকুইন ফিনিক্স ও কমেডিয়ান জন স্টেওয়ার্টসহ ৬০ হলিউড তারকা লিখিত বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন।
তারা লিখেছেন, 'পবিত্রভূমির সব মানুষের জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আপনার প্রশাসন ও সব বিশ্বনেতাদের অনুরোধ করছি। আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করুন। গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন। বন্দিদের নিরাপদ মুক্তির ব্যবস্থা করুন।’
এতে আরও লেখা হয়, 'এ ঘটনায় আমরা নীরব ছিলাম—এমন বার্তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিতে চাই না।'
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার মধ্যে গত সোমবার জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস মন্তব্য করেছিলেন, 'ইতিহাস সব দেখছে।' ওই মন্তব্যটিও বার্তায় উল্লেখ করেন এই তারকারা।
অবরুদ্ধ গাজাবাসীদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধও সেই বার্তায় করা হয়েছে।এতে সই করা ৬০ তারকার মধ্যে আরও আছেন সুসান সারানডন, ক্রিস্টেন স্টেওয়ার্ট, কুইনটা ব্রুনসন, রামি ইউসুফ, রিজ আহমেদ ও মাহেরশালা আলি।