ইরানে কী পরিমাণ অস্ত্র মজুদ আছে?

Date: 2024-10-03
news-banner
হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ হত্যাসহ বেশ কিছু বিষয়ের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ হামলায় ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। যার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডান দ্বারা নিযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী প্রতিরক্ষার সাহায্যে বাধা দিয়েছে ইসরাইল।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)-এর মিসাইল থ্রেট প্রজেক্টের ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, তেহরানের হাজার হাজার ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যা বিভিন্ন রেঞ্জ কভার করতে সক্ষম। প্রতিটি ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রের সঠিক সংখ্যা অজানা।

তবে ইউএস এয়ার ফোর্স জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি ২০২৩ সালে কংগ্রেসকে বলেছিলেন, ইরানের ৩ হাজারেরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ট্র্যাজেক্টোরিগুলি সেগুলিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সীমার বাইরে নিয়ে যায় এবং ওয়ারহেড পেলোড রকেট থেকে আলাদা হওয়ার পর তা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।

সম্প্রতি ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সেগুলোর ভিডিও বিশ্লেষণ করে অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ইসরাইলের উপর সর্বশেষ হামলায় শাহাব-৩ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের রূপগুলো ব্যবহার করেছে ইরান। যা মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

মিসাইল থ্রেট প্রজেক্ট বলছে, শাহাব-৩; ২০০৩ সালে ইরানের পরিষেবাতে প্রবেশ করেছিল। যা ৭৬০ থেকে ১২০০ কিলোগ্রাম ওয়ারহেড বহন করতে পারে। মোবাইল লঞ্চার এবং সাইলো থেকেও এটি নিক্ষেপ করা যেতে পারে।

এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইরান ওয়াচ বলেছে, শাহাব-৩ এর নতুন রূপ এটি। গদর এবং এমাদ ক্ষেপণাস্ত্র, যা তাদের লক্ষ্যবস্তুর প্রায় ৩০০ মিটার নির্ভুলতা রয়েছে। এদিকে ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলায় তেহরান একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ফাত্তাহ-১ ব্যবহার করেছে। যা একটি ‘হাইপারসনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র। যার অর্থ এটি মাক-৫, বা শব্দের গতির পাঁচগুণ গতিতে আঘাত হানতে সক্ষম।

ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক সিনিয়র বিস্ফোরক অস্ত্র প্রযুক্তিবিদ ট্রেভর বল বলেছেন, ‘এটি তাদের নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি। এটি ব্যবহার করার ফলে তাদের অনেক কিছু হারাতে হবে। ইসরাইল তার সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা পাবে এটি ব্যবহার করার ফলে।
image

Leave Your Comments