এই সূচকে সবচেয়ে ভালো স্কোর হল শূন্য আর সবচেয়ে খারাপ স্কোর হল ১০০
পয়েন্ট। স্কোর বাড়লে ক্ষুধা পরিস্থিতির অবনতি, আর কমলে পরিস্থিতির উন্নতি। সূচকের
ওপর তৈরি প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১১.৯ শতাংশ অপুষ্টির
শিকার এবং ২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু তাদের পঞ্চম জন্মদিনে পৌঁছানোর আগেই মারা
যায়।
বৈশ্বিক ক্ষুধা পরিস্থিতি তুলে ধরে শুক্রবার প্রকাশিত সূচকে অবনমনের এই তথ্যের সঙ্গে উঠে এসেছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশেষ করে শিশুদের ক্ষুধায় ভোগার চিত্র, যা থেকে তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থাও পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি অপুষ্টির কারণে থেমকে গেছে।
অবশ্য ‘মধ্যম’ মাত্রার ক্ষুধার দেশ হিসেবে শ্রেণিকৃত বাংলাদেশে ২০১৬ সালের চেয়ে ক্ষুধার মাত্রা কমেছে; সে বছর স্কোর ছিল ২৪ দশমিক ৭।ক্ষুধা সূচকে যে দেশের স্কোর যত কম, তাদের ক্ষুধার মাত্রা তত কম অর্থাৎ ক্ষুধামুক্ত বোঝায়।
অপুষ্টির হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার- এই চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি বিচার করে তৈরি হয় গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স-জিএইচআই বা বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক।
এতে বলা হয়েছে, অপুষ্টির কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সি ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিশুর
বৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থাৎ বয়সের অনুপাতে তাদের উচ্চতা বাড়ছে না।
উপরন্তু পাঁচ বছরের কম বয়সি ১১ শতাংশ শিশুর শারীরিক বিকাশ নষ্ট হয়ে যায়
অর্থাৎ উচ্চতার অনুপাতে তাদের ওজন বাড়ছে না।
এবারের ক্ষুধা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা ৫৬তম, নেপাল ৬৮তম, ভারত ১০৫তম ও পাকিস্তান ১০৯তম স্থানে।