জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ সব জাতিগোষ্ঠী

Date: 2024-10-21
news-banner
বর্তমানে পরিস্থিতি আরও খারাপ। বিদ্রোহীরা শক্তিশালী হয়ে উঠছে দিন দিনই। এ পরিস্থিতির মধ্যেই বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিয়ন্ত্রিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে এখন যুক্ত হচ্ছেন মুসলিম সদস্যরাও।

দক্ষিণ মিয়ানমারের তানিনথারি অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পাহাড়। এসব পাহাড়ে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর সদস্যদের বসবাস। এই এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহীরা বসিয়েছে চেকপোস্ট। তারা জান্তা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের দিকে যাওয়া বিভিন্ন যানবাহন, পণ্যবাহী ট্রাক ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে থাকে। ২০২১ সালের পর থেকে এই অঞ্চলটি কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) দখলে রয়েছে। কারেন বিদ্রোহীদের অধিকাংশ সদস্যই বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান। বর্তমানে তাদের মধ্যে মুসলিম সৈন্যরাও যুক্ত হয়েছেন। কেএনইউর তৃতীয় কোম্পানির সদস্যরা সবাই মুসলিম। এতে রয়েছেন ১৩০ মুসলিম যোদ্ধা।   


তানিনথারিতে যেসব মুসলিম তরুণ-তরুণী কারেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন, তাদের মধ্যে কিছু আরব বংশোদ্ভুত, কিছু পারস্য, আবার কিছু ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম রয়েছেন। তাছাড়া বার্মিজ ও মালয় মুসলিমও তাদের মধ্যে পাওয়া যায়। এসব যোদ্ধা মূলত অল বার্মা মুসলিম লিবারেশন আর্মির (এবিএমএলএ) হয়ে লড়াই করছেন। 

ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে মিয়ানমারের মুসলিমদের সম্পর্ক সর্বদা তিক্ত। কারণ, যারাই দেশটির ক্ষমতায় আসে, তারা বৌদ্ধ সংস্কৃতির জন্য মুসলিমদের মারাত্মক হুমকি বলে মনে করে। এ কারণে শত শত বছর ধরে মিয়ানমারের মুসলিমরা নির্যাতিত। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। তবে কারেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মুসলিমরা শান্তিতে থাকতে পারে।
image

Leave Your Comments