যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াল কাতার

Date: 2024-11-10
news-banner
গতকাল শনিবার দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েল আলোচনার টেবিলে আন্তরিকভাবে ফিরে আসার আগ্রহ দেখানোর আগ পর্যন্ত তাদের এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, শুরু থেকেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে উভয় পক্ষ আন্তরিকভাবে আগ্রহী হলেই কেবল মধ্যস্থতা করতে রাজি কাতার। ছোট হলেও প্রভাবশালী এ উপসাগরীয় দেশটি মনে করছে, দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের আর কোনো প্রয়োজন নেই।

ইতোমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের অনেককে হারিয়ে টালমাটাল থাকা দলটির জন্য এটি একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা দিতে পারে।
কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য বিভিন্ন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল। এখনো পর্যন্ত আলোচনা কোনো সুফল বয়ে আনেনি। অক্টোবরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আলোচনাও কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, যদি হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় ফিরে আসার আন্তরিক ইচ্ছা প্রদর্শন করে তবেই কাতার মধ্যস্থতা করতে আসবে। তাদের এই সিদ্ধান্ত হামাস, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হামাস এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

বাইডেন প্রশাসন ও ইসরায়েলি সরকার কাতারকে তাদের ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করে। কারণ তুরস্কে অবস্থানকালে আলোচনাগুলো কার্যকর হচ্ছিল না।

ওয়াশিংটনের কাছ থেকে প্রধান ন্যাটো বহির্ভূত মিত্রের মর্যাদা পাওয়া কাতার ২০১২ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
দোহায় কতজন হামাস কর্মকর্তা অবস্থান করছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে এর মধ্যে রয়েছেন হামাসের কূটনৈতিক মুখ হিসেবে পরিচিত ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের ডেপুটি খলিল আল-হায়া ও খালেদ মেশাল।
image

Leave Your Comments