রাশিয়া প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে তাদের কুরস্ক অঞ্চলে। কুরস্ক দক্ষিণ রাশিয়ার অঞ্চল, যেখানে কিয়েভ আশ্চর্যজনকভাবে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছিল।
জেলেনস্কি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল অলেকজান্ডার সিরস্কির কাছ থেকে একটি ব্রিফিং পাওয়ার পর টেলিগ্রামে একটি পোস্টে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সেনারা কুরস্কে প্রায় ৫০ হাজার শক্তিশালী শত্রুগোষ্ঠীকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা রবিবার সিএনএনকে বলেছেন, রাশিয়া কুরস্কে ইউক্রেনের অবস্থানে আক্রমণ চালানোর জন্য কোরিয়ার সেনাসহ বিশাল একটি বড় বাহিনী প্রস্তুত রেখেছে। তবে ক্রেমলিন তার ভূখণ্ডে উত্তর কোরিয়ার সেনা উপস্থিতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করে রাশিয়া।
সে সময় বলা হয়, এই অভিযানের প্রয়োজন ছিল। কারণ রাশিয়া এই অঞ্চল থেকে ইউক্রেনে নতুন করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল। ইউক্রেন আরো বলেছিল, তারা ভবিষ্যতে আন্তঃসীমান্ত আক্রমণ প্রতিরোধে একটি ‘বাফার জোন’ তৈরির লক্ষ্যে রয়েছে।
কিছুদিন আগেই ইউক্রেন অভিযোগ করেছিল, রাশিয়ার সীমান্তে ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সেনার লড়াই হয়েছে। স্পষ্ট হয়ে গেছে যে উত্তর কোরিয়ার সেনা রাশিয়াকে সরাসরি সাহায্য করছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধে তারা ফ্রন্ট লাইনে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করছে।