পরিচ্ছন্ন বাহিনী হিসাবে ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগ -র‌্যাব

Date: 2024-11-14
news-banner
পরিচ্ছন্ন বাহিনী হিসাবে ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব। পুলিশ অধ্যাদেশের অধীনে প্রায় ২০ বছর ধরে চলে আসা বাহিনীটির নাম, লোগো ও পোশাকের পরিবর্তন আনার কাজ চলছে। পাশাপাশি বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আইনও প্রণয়ন করা হবে। র‌্যাবের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, র‌্যাব রাখারই কোনো যৌক্তিকতা নেই। র‌্যাবকে বিলুপ্ত করে দেওয়া উচিত। আবার কেউ বলছেন, সংস্কার করে আইনি কাঠামোর মধ্যে রেখে র‌্যাবকে পরিচালনা করা যেতে পারে।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০৪ সালে এলিট ফোর্স র‌্যাব গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদ ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন করা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিগত ১৫ বছরে এই বাহিনীর বেপরোয়া কর্মকাণ্ড নিয়ে দেশে-বিদেশে চরম সমালোচনা তৈরি হয়। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নানা অভিযোগ ওঠে বাহিনীটির বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলা থেকে শুরু করে কক্সবাজারের কথিত বন্দুকযুদ্ধে কাউন্সিলর একরামুল হকের নিহত হওয়া পর্যন্ত বহু বিতর্কিত ঘটনা এই বাহিনীটির খ্যাতিকে নষ্ট করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা র্যাব সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই দাবি আরও জোরালো হয়।
এদিকে গত ২৭ আগস্ট গুমসংক্রান্ত কমিশন গঠন করে সরকার। এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের ঘটনার অভিযোগ জানানোর সুযোগ ছিল। ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনে ১৬শ গুমের অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এসব অভিযোগের মধ্যে কমিশন ৪০০ অভিযোগ যাচাই করে। তার মধ্যে ১৭২টি গুমের অভিযোগে র‌্যাবের সংশ্লিষ্টতা পায়। এছাড়া সিটিটিসির বিরুদ্ধে ৩৭টি, ডিজিএফআইর বিরুদ্ধে ২৬টি, ডিবির বিরুদ্ধে ৫৫টি, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি ঘটনার প্রমাণ পায়। কমিশন সূত্র জানিয়েছে, র‌্যাবের বিরুদ্ধেই গুমের অভিযোগ বেশি।

image

Leave Your Comments