ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাবে কিছু মন্তব্যসহ সম্মতি দিয়েছে লেবানন ও হিজবুল্লা। একে যুদ্ধ বন্ধের সবচেয়ে গুরুতর প্রচেষ্টা বলেও মন্তব্য করেছেন ঐ শীর্ষ কর্মকর্তা।
লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নবীহ বেরির সহকারী আলী হাসান খলিল বলেছেন, সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তাদের লিখিত জবাব জমা দিয়েছে লেবানন। হোয়াইট হাউসের দূত আমোস হোচস্টেইন বৈরুতে আলোচনা অব্যাহত রাখতে এসেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেওয়া সব মন্তব্যে জাতিসংঘের রেজোলিউশন ১৭০১-এর সুনির্দিষ্ট ধারাগুলো মেনে চলার প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। খলিল মূলত ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে পাস হওয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৭০১-এর কথা উল্লেখ করেছেন।
এই প্রস্তাবে লেবানন-ইসরাইল সীমান্ত ও লিটানি নদীর (যা সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কি.মি উত্তরে অবস্থিত) মধ্যবর্তী এলাকায় হিজবুল্লাহর যে কোনো সশস্ত্র উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
খলিল বলেন, এই উদ্যোগের সাফল্য এখন ইসরাইলের ওপর নির্ভর করছে। যদি ইসরাইল সমাধান না চায়, তাহলে তারা ১০০টি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, রেজোলিউশন-১৭০১ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। এই যুক্তি তুলে ধরতে তারা সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও অস্ত্রের উপস্থিতির কথা বলে আসছে। অন্যদিকে লেবানন ইসরাইলকে তার আকাশসীমায় যুদ্ধবিমান উড়ানোর মতো লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে।