আইভরি কোস্টে উপনিবেশের যুগের সমাপ্তি

Date: 2025-01-01
news-banner
 এটি পশ্চিম আফ্রিকার আরেকটি দেশ যা ফরাসি উপনিবেশিক সামরিক সম্পর্কের অবসান ঘটাচ্ছে। এর আগে মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজার একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

রাষ্ট্রপতি আলাসানে ওউয়াতারা মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে বার্ষিক ভাষণে ঘোষণা করেন যে, আবিজানের পোর্ট-বুয়েতে অবস্থানরত ফরাসি বাহিনীর ৪৩তম বি.আই.এম.এ মেরিন ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন এখন থেকে আইভরি কোস্টের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওউয়াতারা বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করেছে।”

ফ্রান্স, যা ১৯৬০-এর দশকে পশ্চিম আফ্রিকার উপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল, এখনও প্রায় ১,০০০ সৈন্য আইভরি কোস্টে মোতায়েন রেখেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফরাসি সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বিরোধিতা বেড়েছে। সেনেগাল এবং চাদও সম্প্রতি ফরাসি সেনাদের তাদের মাটি থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

ডিসেম্বরের শেষদিকে, ফ্রান্স তার প্রথম সামরিক ঘাঁটি চাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি আফ্রিকার দেশগুলোর প্যারিসের প্রতি নীতিগত অবস্থানের পরিবর্তনের অংশ।

ফরাসি সেনা বহিষ্কৃত হওয়ার পর, মালি, নাইজার এবং বুরকিনা ফাসোর সামরিক নেতারা রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছে। বর্তমানে ফ্রান্সের সেনা উপস্থিতি মাত্র দুটি দেশে সীমাবদ্ধ—জিবুতি (১,৫০০ সৈন্য) এবং গ্যাবন (৩৫০ সৈন্য)।

আইভরি কোস্টের এই সিদ্ধান্ত ফ্রান্স এবং আফ্রিকার মধ্যকার সামরিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি প্রমাণ করে যে আফ্রিকার দেশগুলো তাদের নিজস্ব সামরিক শক্তি এবং স্বাধীনতার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
image

Leave Your Comments