৪৭তম বিসিএসে আবেদনের সময় প্রায় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। আবেদন জমার শেষ তারিখ ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৭তম বিসিএসের অনলাইনে আবেদনপত্র (বিপিএসসি ফরম-১) জমাদানের শেষ তারিখ ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৭ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ, অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১.৫৯ মিনিটের মধ্যে ইউজার আইডিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা ওই সময়ের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফি জমা দিতে পারবেন। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পর কোনো আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না।
৪৭তম বিসিএসের অ্যাপিয়ার্ড প্রার্থীর যোগ্যতার বিষয়েও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। যদি কোনো প্রার্থী এমন কোনো পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন যে পরীক্ষায় পাস করলে তিনি ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করবেন এবং পরীক্ষার ফল ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন) শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রকাশ না হয়, তাহলেও তিনি অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন, তবে তা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে। শুধু সেসব প্রার্থীকে অবতীর্ণ (অ্যাপিয়ার্ড) প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে, যাঁদের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব লিখিত পরীক্ষা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ তারিখের মধ্যে, অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে বা কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। যেকোনো টেলিটক নম্বরের মাধ্যমে আবেদন ফি বাবদ ২০০ টাকা জমা দিতে হবে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা দিতে হবে।
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ৪৭তম বিসিএসে মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭। আর নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১। এই বিসিএস থেকে মোট ৩ হাজার ৬৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই বিসিএসে কিছু নতুন পদ যুক্ত হয়েছে। এই বিসিএসে আবেদনের জন্য ১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সব ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়স কম বা বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।