রিজার্ভ ছাড়াল ২৭ বিলিয়ন ডলার, ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত। অর্থনীতিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে (গ্রস), যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই প্রবণতা দেশের অর্থনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক বার্তা বহন করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম৬ পদ্ধতিতে ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।
১৫ জুন পর্যন্ত এই রিজার্ভ ছিল যথাক্রমে ২৬.১৫ বিলিয়ন (গ্রস) এবং ২০.৮৬ বিলিয়ন (বিপিএম৬)। এর আগে ২৭ মে পর্যন্ত রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ২৫.৮০ বিলিয়নে (গ্রস) এবং ২০.৫৬ বিলিয়নে (বিপিএম৬)।
২০১৩ সালের জুনে দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫.৩২ বিলিয়ন ডলার। ধীরে ধীরে এটি বাড়তে থাকে এবং ২০১৮ সালে পৌঁছায় ৩৩.৬৮ বিলিয়নে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৯ বিলিয়নে, এবং ওই বছরের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সত্ত্বেও রিজার্ভ আরও বাড়ে এবং ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রেকর্ড ৪৮.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে।
২০২২ সাল থেকে ডলার সংকট, বৈশ্বিক মন্দা, উচ্চ আমদানি ব্যয় ও মূল্যস্ফীতির চাপে রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। তবে সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি দেশীয় অর্থনীতির স্থিতি ফিরিয়ে আনার বার্তা দিচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, রিজার্ভে এই পুনরুদ্ধার সরকারের আর্থিক নীতির ইতিবাচক প্রভাব এবং প্রবাসী আয়ে ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় সম্ভব হয়েছে। যদিও বিপিএম৬ অনুযায়ী হিসাব অনেকটাই নিচে, তথাপি সামগ্রিক প্রবণতা শক্তিশালী মুদ্রানীতি ও বিনিয়োগ পরিস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি করছে।