ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল, বিনিয়োগের পথ খুলছে

Date: 2025-07-02
news-banner
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিন ধরে আরোপিত জটিল নিষেধাজ্ঞার কাঠামো শিথিল করতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। সোমবার জারি করা এই আদেশে সিরিয়ার পুনর্গঠন ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে—এমন কিছু প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

নতুন এই পদক্ষেপ সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এসেছে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির ছয় মাস পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দেশটিতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও পুনর্গঠনের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।

এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি সিরিয়াকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ এবং নিজের ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “একটি ঐক্যবদ্ধ সিরিয়া যা সন্ত্রাসী সংগঠনের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে না এবং যার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, তা অঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

তবে ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, ইসলামিক স্টেট (আইএস), ইরান ও তার মিত্রদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কূটনৈতিক গতিশীলতার ইঙ্গিত দিয়েছে রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর ইসরায়েল এখন সিরিয়া ও লেবাননের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। ইসরায়েলি নেতারা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সংঘাতে ইরানের অবস্থান দুর্বল হয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত সিরিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ হলেও, এটি একটি জটিল ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার অংশমাত্র। এখন দেখার বিষয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পদক্ষেপকে কতটা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে এবং তা কতটা বাস্তবায়িত হয়।
image

Leave Your Comments