সতর্ক শুরু, মাঝপথে ছন্দপতন, এক রান আউটের ধাক্কা আর শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং—এইসব মিলিয়ে উত্থান-পতনের এক ইনিংস খেলেছে বাংলাদেশ। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৫ ওভারে অলআউট হয়ে ২৪৮ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন প্রথম দুই ওভারে সংগ্রহ করেন ১০ রান। তবে তৃতীয় ওভারে ফার্নান্দোর দুর্দান্ত নাকল ডেলিভারিতে মাত্র ৭ রানে আউট হয়ে যান তানজিদ।
এরপর ব্যাট হাতে হাল ধরেন পারভেজ ও শান্ত। ৫৪ বলে আসে ৬৩ রানের মূল্যবান জুটি। শান্ত অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি— ১৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি।
পারভেজ হোসেন ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচেই খেলেন দায়িত্বশীল ইনিংস। ৬৯ বলে ৬৭ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৬টি চারে ও ১টি ছক্কা। এটি তার প্রথম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি।
পারভেজের আউটের পর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস নামতে শুরু করে।
মেহেদী হাসান মিরাজ ৯ রান করে চামিরার বলে পুল করতে গিয়ে আউট হন। এরপর শামীম হোসেন করেন ২৩ বলে ২২ রান।
এই সময় দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। তার সঙ্গে ছিলেন জাকের আলী। এই জুটিতে আসে ৬১ বলে ৪৫ রান। ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় থাকা হৃদয় তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক— ৩৩ ইনিংসে ১ হাজার রানের কোটা পূরণ করেন তিনি।
কিন্তু ঠিক এই সময়ই ঘটে সবচেয়ে দৃষ্টিকটু মুহূর্ত—একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হৃদয় রানআউট হয়ে ফিরে যান। এই উইকেটেই আবারও পরিকল্পনা ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের।
শেষদিকে তানজিম সাকিবের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মাত্র ২১ বলে ৩৩ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা।
তবে ৫০ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই ৪৫.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ, সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৮ রান।