ফিলিস্তিনের কেফিয়াহ রুমাল ও পতাকা বিক্রি বেড়েছে।

Date: 2023-11-12
news-banner
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল-ফিলিস্তিন(হামাস) যুদ্ধের এক মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। আর এই এক মাসে ফিলিস্তিনের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন যার যার এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। এসব বিক্ষোভ–সমাবেশে অনেককেই দেখা গেছে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শন করতে।

ফিলিস্তিনিকে সমর্থন দিতে আবার অনেকে গলায়–মাথায় ফিলিস্তিনি রুমাল (কেফিয়াহ) জড়িয়ে মিছিল–সমাবেশ যোগ দেন। সাধারণত বাংলাদেশে এর ব্যবহার খুব দেখা না গেলেও সচরাচর গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলার কারণে ফিলিস্তিনের কেফিয়াহ রুমাল ও পতাকা বিক্রি বেড়েছে।

চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট, চকবাজার, আগ্রাবাদ, আন্দরকিল্লাহ, হকার মার্কেট ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের কেফিয়াহ রুমাল ও পতাকা বিক্রি হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। তবে এগুলো বেশি বিক্রি হয় ফিলিস্তিনের সমর্থনে কোন সভা-সমাবেশ কর্মসূচির পূর্বে।

দেশের বাজারে আমদানি করা কেফিয়াহ বিক্রি হয় সাধারণত। কিন্তু চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন স্থানীয়ভাবে অনেকেই এটি তৈরি করে বাজারে ছাড়ছেন।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এগুলো সাধারণত মাসে দুই-চারটা বিক্রি হতো। কিন্তু হঠাৎ কেফিয়াহ’র চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দোকানে  যা ছিল, সব বিক্রি শেষ। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে আমদানিকৃত কেফিয়াহ বিক্রি শেষ। আমদানির পাশাপাশি আমাদের দেশেও এখন এগুলো তৈরি হচ্ছে।’

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ফলে দেশে কেফিয়াহর বিক্রি গত এক মাসে ১০ গুণ বেড়ে গেছে। কেফিয়াহ আসে সাধারণত চীন, ভারত, পাকিস্তান, দুবাই, সৌদি আরবসহ প্রভৃতি দেশ থেকে। ‘লাগেজ পার্টির’ মাধ্যমেও কেফিয়াহ আসে দেশে। আমদানি করা কেফিয়াহর স্বল্পতার পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ার কারণে দেশে তৈরি কেফিয়াহর বিক্রি বেড়েছে।  ঢাকার বাইরে দেশে তৈরি কেফিয়াহর চাহিদা বেশি।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, কেফিয়াহ তেমন নিয়মিত বিক্রি হয় না তাই চাহিদা পেলে সে অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। এখন চাহিদা বেড়েছে কিন্তু আমদানিকৃত কেফায়া না থাকায় কিছু দেশীয় প্রতিষ্ঠান ভাল মানের কেফিয়া তৈরী করছে।

ঢাকার কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা জানান, যুদ্ধের আগে তাঁরা মাসে ১0–১৫টি কেফিয়াহ বিক্রি করতেন। কিন্তু গত এক মাসে প্রতিদিন ২৫০–৩০৫টি বিক্রি করেছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা আগে মাসে ৩০০–৫০০টি কেফিয়াহ বিক্রি করতেন। গত এক মাসে বিক্রি হয়েছে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজারের মতো।
image

Leave Your Comments