ডলারের দাম কত

Date: 2023-11-14
news-banner
বানিজ্য ডেস্ক: এখনো ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনা অব্যাহত রেখেছে দেশের ব্যাংকগুলো। গতকাল (১৩-১১-২৩) সোমবারও কিছু বেসরকারি ব্যাংক ১২৪ টাকা দরে প্রবাসী আয় কিনেছে। যাদের আমদানি ও বিদেশি ঋণের দায় মেটানোর চাহিদা ছিল, তারাই এভাবে ডলার কিনেছে। যদিও আমদানি দায় মেটাতে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম এখনো ১১১ টাকা।

এদিকে যেসকল ব্যাংক রেমিট্যান্স হাউসগুলোর চাহিদানুযায়ি ডলারের দাম দিতে পারছে না, তারা প্রবাসী আয়ও পাচ্ছে না। ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যাংকগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রবাসী আয় কেনার ক্ষেত্রে ডলারের নির্ধারণ করা আছে দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে রয়েছে সরকারের ঘোষিত আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। পাশাপাশি কোনো কোনো ব্যাংক আরও আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। ফলে ডলারের সর্বোচ্চ দাম দাঁড়ায় ১১৬ টাকা। রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংক অতিরিক্ত আরো আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসী আয় কিনছে। আবার বেসরকারি খাতের কিছু ব্যাংক এই প্রণোদনার পাশাপাশি আরও বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনছে।

ডলারের দাম কম দেওয়ার কারণে সোমবার মাত্র ১ লাখ ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। অন্য সময়ে দিনে যা ২০ লাখ ডলার ছিল।

এদিকে ডলারের দাম বেশি দেওয়ার কারণে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনে (১-৯ নভেম্বর) ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে মোট ৭৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত বছরের এই সময়ে এসেছিল ৫৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে গত বছরের নভেম্বরের প্রথম ৯ দিনের তুলনায় চলতি বছরে একই সময়ে প্রবাসী আয় প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ৪১ শতাংশ।

নির্ধারিত দামে প্রবাসী আয় কেনার নির্দেশনা
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) গত বুধবার এক সভায় প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলার আগের মতো ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ২.৫+২.৫ মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনাসহ ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারন হয়েছিল ১১৬ টাকা। তবে আমদানি দায়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম থাকবে সর্বোচ্চ ১১১ টাকা। সব ব্যাংককে এই নির্দেশনা মানতে হবে। পরেরদিন বৃহস্পতিবার বৈদেশিক বাণিজ্যে শীর্ষস্থানীয় ১৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেগন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সভা করে জানান, সব ব্যাংক ডলারের ওই দাম মেনে চলবে। তবে এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহয়তা চান তাঁরা।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল প্রবাসী আয় সংগ্রহে শীর্ষ পর্যায়ে থাকা রেমিট্যান্স হাউসগুলোর স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ, স্মল ওয়ার্ল্ড, ট্রান্সফাস্ট, মানিগ্রাম, রিয়া, এনইসি মানি ট্রান্সফার, মার্চেন্ট ট্রেডসহ আরও কয়েকটি রেমিট্যান্স হাউসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় এবিবি ও বাফেদার নির্ধারিত দামে প্রবাসী আয় সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত রেমিট্যান্স হাউসের কর্মকর্তারা বলেন,  ‘এবিবি ও বাফেদার নির্ধারিত দামে প্রবাসী আয় সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী প্রবাসী আয় সংগ্রহ করি। যে ব্যাংকের চাহিদা বেশি, তাদের জন্য বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনে থাকি।’
image

Leave Your Comments