তবে পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলেছেন, বাড়তি ভাড়া আদায় ঠেকাতে ই-টিকেট পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। শুরুতেই সব শতভাগ সফল হয় না; তবে আমরা সরজমিনে নগরীর বিভিন্ন রুটে ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ বাসের কন্ট্রাকটরের হাতে ই-টিকেটের মেশিন থাকে না। মোহাম্মদপুর-খিলগাও রুটের মিডলাইন পরিবহন, মোহাম্মদপুর-ধুপখোলা রুটের মালঞ্চ পরিবহনের বাসের কন্ট্রাকটরের কাছে ই-টিকেটিং মেশিন দেখা যায় না। টিকিট না দিয়েই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।হাল ছাড়ছি না। মনিটরিং ব্যাবস্থা আরো জোরদার করতে ৫ মার্চ থেকে নেতারা রাস্তায় নামবেন।ফিরোজ হোসেন ধানমন্ডির শংকর বাসস্ট্যান্ড থেকে মিডলাইন পরিবহনের বাসে ওঠেন। পল্টন যাওয়ার জন্য ২০ টাকা ভাড়া দেন। কন্ট্রাকটর টাকা নিয়ে চলে যায়। টিকিট চাইলেও যাত্রীকে টিকিট না দিয়ে কন্ট্রাকটর কামাল জানান, ‘মালিকরা মেশিন আবার জমা নিয়ে গেছে’। বিভিন্ন সময়ে একই অবস্থা দেখা গেছে রমজান পরিবহন ও মালঞ্চ পরিবহনের বাসে। তরঙ্গ পরিবহনের কোনো বাসে কন্ট্রাকটরদের টিকিট দিতে আগ্রহ দেখা যায়নি। মোহাম্মদপুর থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত অন্য বাসে ২০ টাকা ভাড়া নেয়া হলেও তরঙ্গ ও রমজান পরিবহনের বাসে ২৫ টাকা রাখা হচ্ছে। বিকাশ পরিবহন, শিকড় পরিবহন, প্রজাপতি পরিবহন, বাহন পরিবহনের বাসেও ই-টিকেট পদ্ধতির সুফল মেলেনি। মালিক সমিতির কাছেও অভিযোগ রয়েছে। এসব বাসের মালিকরা তাদের গাড়িটি এখনো দৈনিক চুক্তিতে বাস চালক ও কন্ট্রাকটরের হাতে তুলে দিচ্ছেন।টিকেট না দিয়েও কন্ট্রাকটররা সব রুটের যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করে নিচ্ছেন। বাসগুলোতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সরবরাহ করা ভাড়ার নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নেয়া হয় না। ই-টিকেটে স্থান ও ভাড়ার টাকা নিদিষ্ট করে লেখা থাকলেও এক স্থান থেকে অন্য স্থানের দুরত্ব উল্লেখ নেই। এক কিলোমিটার যেতেও ১০ টাকা নেয়া হচ্ছে, আবার আরো বেশি দুরত্বে যেতেও ১০ টাকা নেয়া হচ্ছে। মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত নির্ধারিত ভাড়া ১০ টাকা। আবার টাউনহল থেকে আসাদগেট পর্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ভাড়াও ১০ টাকাই নেয়া হচ্ছে। হাফ কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া কেন ১০ টাকা নেয়া হবে- তা নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কন্ট্রাকটরের বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে। রাজধানীর অন্য রুটেও একই ধরনের ঘটনা ঘটছে।