নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. সোহেল রানার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। ওই দিন পর্যন্ত হাইকোর্টের সাজার রায় স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে বিচারকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানার সাজার রায় ২০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তিনি তার খাস কামরায় এ আদেশ দেন।
এর আগে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) সোহেল রানাকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে জামিন দেয় আদালত। বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি মাসুদ হাসান দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল করার শর্তে তাকে জামিন দেন।
এর আগে সকালে একই বেঞ্চে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদলত। রায়ে সোহেল রানাকে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী প্রণয় কান্তি রায়।
শাহ মঞ্জরুল হক বলেন, একটি ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ৫৬১ (এ) দ্বারা ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন আদালত।
পরবর্তীতে এ আদেশের কপি কুমিল্লার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সোহেল রানার কাছে যায়। তিনি হাইকোর্টের ওই আদেশ অমান্য করে বিচার কাজ চালিয়ে যান। এটি হাইকোর্টের আদেশ অমান্য। এই আদেশ অমান্যের কারণে তাকে সাজা দেওয়া হয়।