আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত চুক্তি আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে চুক্তিতে ইসরায়েল এবং হামাস কী কী শর্ত জুড়ে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর হাতে বন্দী জিম্মিদের মুক্তির জন্য যে চুক্তিটি বাস্তব রূপ পেতে যাচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক দিনে অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে। আর বিনিময়ে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করে দিবে ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবার চূড়ান্ত করা চুক্তিতে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর এই জিম্মিদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তবে বিদেশি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো আলোচনা হয়নি।
চুক্তির বিষয়ে অবগত দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েলের ৫০ থেকে ১০০ বেসামরিক জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। তবে কোনো সামরিক কর্মকর্তাকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি তারা।
চুক্তি অনুযায়ী, কয়েক দিন ধরে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রত্যেক দিন ১০ জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে। একই সূত্র বলেছে, চুক্তিতে চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য স্থলভাগে ‘‘সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি’’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বহুল প্রত্যাশিত চুক্তিতে ইসরায়েলে প্রায় ১৫০ থেকে ৩০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তির শর্ত রয়েছে। আর মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মধ্যে নারী ও শিশুরা থাকবে। সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি ১০০ থেকে ৩০০ ট্রাককে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্তি আগামী বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার শুরু হতে পারে। প্রাথমিকভাবে ৫০ কিংবা আর কিছু জিম্মির মুক্তির পর বাকিদের মুক্ত করতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে ইসরায়েল।