নিউ ইয়র্ক, সিয়াটলসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। মূলত গর্ভপাতের অধিকারের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুমকি এবং গণহারে অভিবাসীদের বিতাড়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিক্ষোভ হয়। নিউ ইয়র্কে বিভিন্ন পরামর্শক গোষ্ঠীর কর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন।
মূলত কর্মীদের অধিকার এবং অভিবাসীদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে তাঁরা ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—‘আমরা নিজেদের রক্ষা করি’, ‘প্রেসিডেন্ট, স্বাধীনতার জন্য নারীদের আর কত অপেক্ষা করতে হবে’, ‘আমরা পিছু হটব না’। অনেকে ‘আমরা এখানে আছি এবং চলে যাচ্ছি না’ স্লোগান দেন। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
অধিকারগোষ্ঠী সোশ্যালিস্ট অলটারনেটিভের আয়োজক স্টিভ ক্যাপরি বলেন, ‘সামনে যা হতে যাচ্ছে তাতে আমরা শঙ্কিত, তবে পিছু হটছি না।
ট্রাম্প সবার জন্য হুমকি, তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, আন্দোলন করতে হবে।’ সব দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে জয়ী ট্রাম্প : আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের ভোটে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে এবার সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের সব কয়টিতে জিতলেন এই রিপাবলিকান নেতা। এর আগে পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা, নেভাদা ও জর্জিয়ায় জেতেন তিনি।
আগামী বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। প্রথাগতভাবে বিদায়ি প্রেসিডেন্ট ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ ধরনের সাক্ষাৎ হয়ে থাকে। তবে ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানাননি ট্রাম্প। এমনকি বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানেও অংশ নেননি তিনি। তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বাইডেন।