ইলন মাস্ক চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্পের পক্ষে তার সমর্থন ঘোষণা করেছিলেন। এর আগে, ২০২২ সালে অবশ্য তিনি ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পতনের ইঙ্গিত দিয়ে মন্তব্যও করেছিলেন, তবে সময় বদলেছে। ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামীকে যে দপ্তর দিতে চলেছেন তার নাম হবে 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি'। ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এজেন্সির সংক্ষিপ্ত রূপ ‘ডিওজিই বা ডোজ’।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিলেন শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। অনুদানও দিয়েছেন প্রায় ২০ কোটি ডলার। অবশ্য ট্রাম্প জেতার পরে মাস্কের সম্পদ বাড়ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্প তার বিজয়ী ভাষণে বিশেষভাবে মাস্কের কথা বলেছেন 'প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট
ট্রাম্পের চাকরিতে কী করবেন মাস্ক, এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি দক্ষতা বিভাগ ঠিক কী কী কাজ করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু এটিকে সরকারের গতানুগতিক কাঠামোর বাইরের একটি প্রতিষ্ঠান বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের বাইরে থেকে পরামর্শ এবং নির্দেশনা দেবে ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি। ট্রাম্প বলেছিলেন, এর লক্ষ্য সরকারের মধ্যে ‘উদ্যোক্তার দৃষ্টিভঙ্গি’ নিয়ে আসা। এটা হবে আমাদের সময়ের 'দ্য মানহাটন প্রজেক্ট।’
ম্যানহাটন প্রজেক্টের মাধ্যমে আমেরিকার প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরি করা হয়েছিল। নতুন দপ্তরের প্রসঙ্গে সেই ঘটনার উল্লেখ করলেন 'প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট'।
নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন করে প্রায় চার হাজার পদে নিয়োগ দিতে হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সেই তালিকায় মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা পর্যন্ত নির্ধারণ করেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর একে একে তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদের নাম ঘোষণা করছেন।