ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ৭৬ দিন অপেক্ষা করতে হবে

Date: 2024-11-18
news-banner
ব্রিটেনে গত জুলাই মাসে সংসদীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পান কিয়ার স্টারমার। জয় পাওয়ার মাত্র একদিন পরেই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে পুরো উল্টো চিত্র দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে। কেননা, গত ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ৭৬ দিন অপেক্ষা করতে হবে তাকে।

অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রের মত ব্রিটেনের বিরোধীদল একটি ছায়া সরকার গঠন করে, যার মাধ্যমে তারা নির্বাচনে জয়ের পরই ক্ষমতা গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে সেরকম কোনো ব্যবস্থা নেই।

প্রেসিডেন্টকে সরকারের বিশাল প্রশাসনিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ করতে হবে। প্রায় সাত লক্ষ কোটি ডলার বাজেটের এই প্রশাসনে ৩৫ লক্ষ বেসামরিক এবং সামরিক লোক কাজ করে, যাদের মধ্যে হাজার হাজার লোককে নতুন প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করবেন।

দেশটিতে এক প্রেসিডেন্ট থেকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট উত্তরণের সময়কে বলা হয় ট্রানজিশন পিরিয়ড। নভেম্বরে নির্বাচনের দিন থেকে জানুয়ারিতে ইনোগুরেশন বা অভিষেক দিবস পর্যন্ত জটিল ১১টি সপ্তাহ হচ্ছে আমেরিকার গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর। এই সময়টার কাজ হচ্ছে এক প্রশাসন থেকে আরেক প্রশাসনের হাতে নির্ঝঞ্ঝাট এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা।

এই ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ট্রানজিশন’ কথাটার প্রথম উল্লেখ ১৯৪৮ করা হয় বলে রাইলি চিহ্নিত করেছেন। তিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় যুক্তি দেখান যে, প্রথম দিন থেকেই বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট এবং তার টিম প্রস্তুতু না থাকার ঝুঁকির কারণে এই প্রক্রিয়া ১৯৬০-এর দশকে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

বর্তমানে, ট্রানজিশন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, যার পেছনে যেমন রয়েছে ঐতিহ্য এবং রীতি, তেমনি আছে আইন এবং নিয়মাবলি।

image

Leave Your Comments