সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ
ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় পাল্টে গেছে
ইহুদিবাদী নেতাদের হিসাবনিকাশ। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার।
নেতানিয়াহুর
দুর্নীতির বিচারে সাক্ষ্য দেওয়ার দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে এই গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা তাঁকে বড় ধরনের বিপদে ফেলে দিয়েছে। কয়েক বছর ধরে আটকে থাকা
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হতে পারে।
নেতানিয়াহু আইসিসির সিদ্ধান্তকে ইহুদিবিরোধী বলে নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি
তিনি ও গ্যালান্ট গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংসতা চালানো এবং
ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের দুর্ভিক্ষে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নেতানিয়াহুর
ভাগ্য নিয়ে অবশ্য কেউ কেউ এখনও আশাবাদী। তাদেরই একজন জেরুজালেমের হিব্রু
ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ইয়োনাটান ফ্রিম্যান। তিনি
বলেন, ইসরায়েলিরা সত্যিই বিরক্ত হয় যদি তারা মনে করে বিশ্ব তাদের
বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তখন তারা তাদের নেতাকে আরও বেশি সমর্থন দেয়।
সুতরাং যারা আশা করছে, আইসিসির রায় এই সরকারের অবসান ঘটাবে এবং যারা এই
যুদ্ধকে ত্রুটিপূর্ণ নীতি হিসেবে দেখছে, তারা আসলে ভুল করছে। বরং তার
বিপরীত হতে চলেছে।
নিউইয়র্কে ইসরায়েলের কনসাল জেনারেল ওফির
আকুনিস বলেন, আইসিসির এই সিদ্ধান্ত লেবাননে একটি চুক্তি এবং জিম্মি ইস্যুতে
ভবিষ্যতের আলোচনার সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তবে হামাস
আইসিসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি,
হামাস বা হিজবুল্লাহ এটিকে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার সুযোগ হিসেবে
দেখছে।
লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফি, সার্বিয়ার স্লোবোদান
মিলোসেভিচসহ হাতেগোনা কয়েকজনের সঙ্গে অপরাধীর তালিকায় যুক্ত হলো
নেতানিয়াহুর নাম, যারা আইসিসি ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে কঠিন ভবিষ্যতের
মুখোমুখি হয়েছেন। এর অর্থ হলো ইউরোপের বেশির ভাগ রাষ্ট্রসহ আইসিসির সদস্য
১২৪টি দেশের যে কোনো একটিতে ভ্রমণ করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তবে
তিনি নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে পারেন। কারণ দেশটি আইসিসির সদস্য নয়।