দক্ষিণ লেবাননে কারফিউ জারি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী

Date: 2024-11-28
news-banner
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হওয়ার পর, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

দক্ষিণে তাদের কোনো অবস্থান থাকবে না। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী বলতে কেবল লেবাননের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা অবস্থান করতে পারবেন। যুদ্ধবিরতির সময়কালের বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেন, লেবাননে কী ঘটে তার ওপর নির্ভর করবে এর সময়। তবে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের প্রত্যাহারের পর দক্ষিণ লেবাননে হাজার হাজার লেবানিজ সেনা মোতায়েন করা হবে। তাদের কীভাবে মোতায়েন করা হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। সামরিক বাহিনীর অভিযোগ, তাদের এ দায়বদ্ধতা পূরণের জন্য সম্পদ, অর্থ, জনবল এবং সরঞ্জাম নেই।

১৪ মাস ধরে চলা লেবাননের এই সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ায় নিজ বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা।

লেবানন আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে অনেক প্রাণহানির পাশাপাশি দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। যুদ্ধবিরতির খবরে দক্ষিণ লেবাননে ফিরতে শুরু করেছেন হাজারো মানুষ। এ কারণে বৈরুত থেকে দক্ষিণ লেবাননের প্রধান সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

রাস্তার পাশে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে পানির বোতল বিতরণ করছেন। অনেকে হিজবুল্লাহর পতাকা নেড়ে উদযাপন করেন। পানির বোতল বিতরণ করা একজন বিবিসিকে বলেন, হাজার হাজার বাসিন্দার নিজ বাড়িতে ফিরে আসা প্রমাণ করে, আমরা এই যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছি। আমাদের একমাত্র ক্ষতি হিজবুল্লাহর সাবেক নেতা হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যু। লেবানন সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরি ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুতদের নিজ বাড়িতে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের ‘পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার’ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণে এবং হিজবুল্লাহ উত্তরে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লেবাননের সামরিক বাহিনী ব্লু লাইনের চারপাশের এলাকায় টহল দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স বিদ্যমান ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় যোগ দেবে। এ ব্যবস্থায় বর্তমানে লেবাননের সেনা, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী (ইউনিফিল) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের সম্ভাব্য সব অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে। লেবাননের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা না থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্র ও ফরাসি বাহিনী প্রশিক্ষণ এবং যোগাযোগের মাধ্যমে লেবাননের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করবে।
image

Leave Your Comments