এর আগে মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সেখানে তিনি তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির মূল দিকগুলো তুলে ধরেছেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হাতে বন্দী ইসরাইলি জিম্মিদের দ্রুত মুক্তি দেয়ার জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। যদি তাদের মুক্তি বিলম্ব হয় তাহলে হামাসের ওপর ‘দোজখ নেমে আসবে’ বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে ভয়েস অফ আমেরিকা।
এতে বলা হয়, ইসরাইলের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামাসের হামলার ফলেই নৃশংস সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছে। যা ওই অঞ্চলে হিংস্রতার আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে এবং সেখানে হাজার হাজার বেসামরিক লোকজন প্রাণ হারিয়েছেন। পোডিয়ামে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগ দেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক তার দূত স্টিভ উইটকফ। সাম্প্রতিক হামাস-ইসরাইলের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সম্পর্কে সংবাদদাতাদের অবহিত করেন তিনি। বলেছেন, তার টিম ‘শিগগিরই’ একটি চুক্তি সম্পাদন করতে চলেছেন এবং সামনের দিনগুলিতে তিনি আবার সেখানে ফিরে যাবেন। তাকে ট্রাম্প বলেছেন, আমি আপনার এই আলোচনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করতে চাই না কিন্তু আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে তারা ফিরে না আসলে, মধ্যপ্রাচ্যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তা হামাসের জন্য এবং সত্যি বলতে কী কারও জন্য ভাল হবে না।
ইউক্রেন বিষয়ে রাশিয়ার নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে নিজের আগ্রহের কথা জানান ট্রাম্প। ইউক্রেনের সংঘাত ‘সমাপ্তির’ ব্যাপারে আবারও তার সংকল্প ব্যক্ত করেন। তবে কীভাবে সেটা বাস্তবায়িত হবে সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি ট্রাম্প। ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনার জন্য দেশটির একটি মূল দাবি হচ্ছে, তাদের ন্যাটোতে যোগদানের অনুমতি দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, আমার মত হলো এটা সব সময় বোঝা গিয়েছিল যে ইউক্রেনকে এই নিরাপত্তা জোটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
তিনি কানাডা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপোর হুমকি এবং তার মতে কানাডার যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গ রাজ্য হওয়া উচিত সেই বিষয়টির পুনরাবৃত্তি করে বলেন, আমরা মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকা উপসাগর রাখতে যাচ্ছি। তবে ট্রাম্পের এমন নীতির সমালোচনা করেছেন বিশ্লেষকরা। জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপিকা থেসালিয়া মেরিভাকি বলেন, ট্রাম্প কৌশল হিসেবে এক ধরনের আগ্রাসী শব্দ ব্যবহার করে থাকেন। তিনি বলেন, মিডিয়াতে খবর হওয়ার জন্য এবং সকলের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য এ ধরনের বিতর্কিত ধারণা উপস্থাপনের রেকর্ড আছে ট্রাম্পের।