বিদেশে অবস্থানরত ও কারাগারে থাকা রাশিয়ার সরকারবিরোধী ব্যক্তিরা জোরের সঙ্গে বিশ্বাস করেন, পুতিন ক্ষমতা থেকে অপসারিত হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে। কারাবন্দী বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির ঘনিষ্ঠ সহচর লিওনিদ ভলকোফ মনে করেন, যুদ্ধ শেষে পশ্চিমাদের শুধু ইউক্রেনের জন্য নয়, রাশিয়ার জন্যও একটি ‘পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা উচিত।
অন্য কথায়, সরকারবিরোধী রুশদের প্রত্যাশা, গদি থেকে পুতিন অপসারিত হওয়ার পর মস্কো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ করবে। নিঃসন্দেহে ইউক্রেনে ‘পুতিনের যুদ্ধের’ চেতনার কোনো ঠাঁই নেই। তাদের প্রশ্ন, সাম্রাজ্যবাদী পুতিনের দেশের আচরণ যে রাতারাতি বদলে যাবে, তার নিশ্চয়তা কী?
সত্তরোর্ধ্ব পুতিনের উত্তরসূরি পশ্চিমাপন্থী বিরোধীদের মধ্য থেকে উঠে আসার কিংবা ক্রেমলিনের বর্তমান ক্ষমতাসীনের থেকে ভিন্ন মানসিকতার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। পুতিনের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিশেষজ্ঞরা যে কয়টি নাম উচ্চারণ করেন, তাদের মধ্যে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলাই পাত্রুশেভ অন্যতম।
তিনি পুতিনের মতোই যুদ্ধবাজ। কাজেই মস্কো যার নিয়ন্ত্রণেই থাক, ইউক্রেনীয়দের স্বার্থে রাশিয়াকে পরাজিত হতেই হবে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে বিষয়টি কেমন হতে পারে? যুদ্ধ এই জোটের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক কি এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে সেখান থেকে ফেরার আর উপায় নেই?