ভারতের ওড়িশার ঝাড়সুগুদা জেলায় বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল ৪৪৪ জন বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিককে। তবে তদন্ত শেষে দেখা গেছে, এদের মধ্যে ৪০৩ জনই পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক। ফলে তাদের মুক্তি দিয়েছে রাজ্যটির প্রশাসন।
সোমবার (৭ জুলাই) ঝাড়সুগুদার বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই শ্রমিকদের আটক করে ওড়িশা পুলিশ। তাদের পরিচয় যাচাইয়ের পর দেখা যায়, কেউই বাংলাদেশি নন। অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা।
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ ও পরিযায়ী কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান সমিরুল ইসলাম জানান, “প্রাথমিকভাবে ভুলভাবে তাদের বাংলাদেশি ভেবে আটক করা হয়েছিল। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, এখন অধিকাংশকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় রাজ্য সরকার তৎপর রয়েছে। আমরা এই ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা চাই।”
এদিকে, বাকি আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে পুরো ঘটনায় যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়েছে ওড়িশা পুলিশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র ভাষার ভিত্তিতে কাউকে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন হতে পারে।