মধ্যপ্রাচ্য সংকট এবার নতুন রুপে। গাজা যুদ্ধ এবং লেবাননে সংঘাতের মধ্যে
নতুন কেন্দ্রবিন্দু এখন সিরিয়া। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া বিদ্রোহীদের
সঙ্গে লড়াইয়ে একের পর এক শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল
আসাদ সরকার।
এমন আবহে ইরান, তুরস্ক এবং রাশিয়াসহ পাঁচটি আরব দেশ
একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, সিরিয়ায় সামরিক অভিযান বন্ধ এবং বেসামরিক
নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য একটি রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন।
শনিবার (৭
ডিসেম্বর) কাতারে অনুষ্ঠিত ২২তম দোহা ফোরাম শেষে তুরস্ক, রাশিয়া, ইরান,
ইরাক, মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব এবং কাতার একটি রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান
জানিয়ে এই যৌথ বিবৃতি জারি করে।
দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের
সাক্ষরিত প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়া সংকট আঞ্চলিক ও
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দোহা ফোরামের
বৈঠকে, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, ইরান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস
আরাগচি এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সিরিয়ায় রাজনৈতিক
প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তুরস্কের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে আনাদোলু এজেন্সির (এএ) এটি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে
রোববার বিদ্রোহীগোষ্ঠীর নেতৃত্বে দেওয়া ইসলামপন্থী হায়াত তাহরির আল-শাম
(এইচটিএস) ঘোষণা করেছে, সিরিয়ার সরকারী বাহিনী বিরুদ্ধে একটি অত্যাশ্চর্য
আক্রমণে তারা হোমস শহরটি দখল করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে,
হোমস থেকে সিরিয়ান সেনাবাহিনী সরে যাওয়ার পর হাজারো বাসিন্দা রাস্তায়
নেমে আসে। তারা নাচতে নাচতে স্লোগান দিতে থাকে, ‘আসাদ শেষ, হোমস মুক্ত’
এবং ‘সিরিয়া দীর্ঘজীবী হোক, বাশার আল-আসাদ নিপাত যাক।’ বিদ্রোহীরা আকাশে
গুলি ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করে। তরুণেরা আসাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের
অগ্রগতির মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রোববার এক বিমানে চড়ে দামেস্ক
থেকে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।