পাকিস্তানের পুরনো ভিডিওকে বাংলাদেশে মন্দির ভাঙচুরের দৃশ্য দাবি করে প্রচার

Date: 2024-12-11
news-banner
বাংলাদেশে একটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ভাঙচুরের ঘটনার একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে টুপি পাঞ্জাবি পরিহিত অসংখ্য ব্যক্তিকে মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর করতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তথ্য যাচাই তথা ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সেটি পাকিস্তানের পুরনো একটি ভিডিও।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মন্দির ভাঙচুরের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। বরং, পাকিস্তানের ২০২১ সালে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য ডন এর ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ৫ আগস্ট Mob ransacks temple after minor boy gets bail in desecration case শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে সংযুক্ত ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত মন্দিরে হামলার ভিডিওর সাথে উক্ত ভিডিওর মন্দির এবং হামলাকারী ব্যক্তিদের মিল রয়েছে। যা থেকে এটি স্পষ্ট যে, উক্ত ভিডিওটি একই ঘটনার তবে ভিন্ন ডিভাইস দিয়ে ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে প্রস্রাব করার কারণে পাকিস্তানের লাহোর থেকে ৫৯০ কিমি দূরে অবস্থিত রহিম ইয়ার খান জেলার ভোঙ্গে শহরে ৮ বছরের এক হিন্দু শিশুকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে নাবালক হওয়ায় তাকে জামিনে ছেড়ে দেয়া হয়। এঘটনার জেরে ওই এলাকায় একটি মন্দিরে স্থানীয় মুসলিম জনতা হামলা চালায়। আলোচিত ভিডিওটি উক্ত মন্দিরে হামলার ঘটনারই।

পরবর্তী অনুসন্ধানে ২০২১ সালের ৪ আগস্ট পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সাবেক সংসদ সদস্য ড: রমেশ কুমার ভাঙ্কওয়ানির করা একটি এক্স পোস্ট খুজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে সংযুক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবির ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও একই ঘটনায় ২০২১ সালের ৫ আগস্ট পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের করা একটি এক্স পোস্টও খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটি থেকে জানা যায়, ভাঙচুরকৃত মন্দিরটি একটি গনেশ মন্দির ছিল। এছাড়াও তার পোস্টের মাধ্যমে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে মন্দিরটি সংস্কার করে দেওয়ার কথাও জানান।

সুতরাং, বাংলাদেশে মন্দির ভাঙচুরের চিত্র দাবিতে পাকিস্তানের পুরোনো ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।
image

Leave Your Comments