ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, আমাদের যে সকল কৃষ্টি, কালচার, সংস্কৃতি রয়েছে এগুলোর বহিঃপ্রকাশ মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়ে থাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেখানে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের একটা প্রত্যয় রয়েছে। আমরা এই বাংলাদেশকে বৈষম্যমুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। সকলের মতামতের ভিত্তিতে আমরা এমন একটি স্থান বা ভেন্যু খুঁজে বের করব যেটাতে স্থায়ীভাবে বিজয় মেলাসহ বিভিন্ন মেলা উদযাপন করা যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, চট্টগ্রাম কৃষ্টি–কালচারের জেলা। এখানে প্রতিবছর বই মেলা, বাণিজ্য মেলা, বিজয় মেলা ও অন্যান্য মেলা হয়ে থাকে। মেলার স্থায়ী ভেন্যু নির্বাচন করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। খেলার মাঠে মেলা হবে না। এজন্য আউটার স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে এনে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন ভেঙে ফেলা পুরনো শিশু পার্কের পরিত্যক্ত মাঠেই (সেনাবাহিনীর সম্পত্তি) জেলা প্রশাসন এবার সপ্তাহব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করেছে। সকলের সাথে কথা বলে এমন একটি ভেন্যু নির্বাচন করবো যেখানে শুধু মেলাগুলো হবে। আউটার স্টেডিয়াম মাঠকে খেলার উপযোগী করে তোলা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
জেলা প্রশাসক ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ফারজানা নাজনীন সেতুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব আহমেদ নেওয়াজ।
জেলা প্রশাসনসূত্র জানায়, এ মেলায় প্রতিদিনের আয়োজনে থাকছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বিজয়ের কথা মালা। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র গণ অভুত্থান ও ২৪’র গণ অভ্যুত্থানের মূল্যবোধ বিষয়ক স্মৃতিচারণ।