বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক

Date: 2025-04-30
news-banner
বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের অধীনস্থ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংককে ১০ বছরের জন্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। এই অনুমোদন বাংলাদেশের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।​
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে এ লাইসেন্স দুটি হস্তান্তর করা হয়। বিটিআরসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, স্টারলিংককে ১০ বছর মেয়াদে ‘ননজিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট অপারেটর লাইসেন্স’ ও ‘রেডিও কমিউনিকেশন অ্যাপারেটার্স লাইসেন্স’ নামে দুটি পৃথক লাইসেন্স হস্তান্তর করে বিটিআরসি।
স্টারলিংক, যা বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে সেবা প্রদান করে, বাংলাদেশে তার সেবা চালু করতে আগ্রহী ছিল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে, যা বিদেশি কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ দেয়। এই নীতিমালার অধীনে স্টারলিংককে পাঁচ বছরের জন্য লাইসেন্স প্রদান করা হয়। ​
২০২৫ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস স্টারলিংকের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু করার নির্দেশ দেন। তিনি স্টারলিংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ৯০ দিনের মধ্যে সেবা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন। ​
স্টারলিংককে বাংলাদেশে সেবা প্রদান করতে হলে স্থানীয় একটি গেটওয়ে স্থাপন করতে হবে। এছাড়া, সেবা চালু করার আগে বিটিআরসির অনুমোদন নিতে হবে এবং সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর জন্য 'ল অফুল ইন্টারসেপশন' সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ​
স্টারলিংকের বাংলাদেশে প্রবেশের সময়টি গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে স্টারলিংকের অনুমোদনকে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। 
স্টারলিংকের সেবা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে, যেখানে ফাইবার অপটিক বা মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাতে ব্যর্থ, সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে। ​

স্টারলিংকের বাংলাদেশে প্রবেশ ডিজিটাল বিভাজন কমাতে এবং দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
image

Leave Your Comments