যুক্তরাষ্ট্র ফোরদোসহ ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত বিমান হামলা চালিয়েছে। মধ্যরাতে পরিচালিত এই হামলায় ব্যাপক বিস্ফোরণ এবং ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বরাতে জানা গেছে, এটি ছিল একটি "প্রতিরোধমূলক অভিযান", যার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সীমিত রাখা।
হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল ফোরদোর পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র, যা পাহাড়ঘেরা স্থানে গভীর ভূগর্ভে অবস্থিত। এছাড়া ইসফাহান ও নাতান্জ এলাকার দুটি স্থাপনাতেও বোমাবর্ষণ করা হয়। ইরানি কর্মকর্তারা হামলার সত্যতা স্বীকার করলেও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করেননি।
এক বিবৃতিতে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “এই হামলা আমাদের আণবিক কর্মসূচিকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। ইরান উপযুক্ত জবাব দেবে।”
হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল হামলাকে "প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ" হিসেবে উল্লেখ করেছে, যদিও তারা সরাসরি অংশগ্রহণের কথা অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”