যুক্তরাষ্ট্রের সুনির্দিষ্ট বিমান হামলার আগেই ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে খালি করে ফেলেছিল ইরান—এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে সর্বশেষ স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে।
বিশ্বস্ত ওপেন-সোর্স গোয়েন্দা প্ল্যাটফর্ম ও উপগ্রহচিত্র বিশ্লেষক সংস্থা “IntelSky” ও “Maxar Technologies”-এর তথ্যমতে, হামলার ঠিক কয়েকদিন আগে থেকেই ফোরদো কেন্দ্রে “উৎপাদন সংক্রান্ত কার্যক্রম” স্থগিত করা হয় এবং “উপকরণ স্থানান্তরের স্পষ্ট আলামত” দেখা যায়।
চিত্রে দেখা গেছে, কেন্দ্রটির আশপাশে উচ্চমাত্রার পরিবহন তৎপরতা, ভারী যানবাহনের আনাগোনা এবং নিরাপত্তা চৌকিতে অস্বাভাবিক জটলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব হলো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ও প্রযুক্তি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সুস্পষ্ট লক্ষণ।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সূত্রও বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও ইঙ্গিত দিয়েছে যে, হামলার সময় ফোরদোতে ‘সীমিত জনবল’ ও ‘নিম্ন পর্যায়ের কার্যক্রম’ চলছিল। ফলে ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনো ফোরদো খালি করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি। তবে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, “প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা পূর্বেই নেওয়া হয়েছিল।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এই কৌশল প্রমাণ করে যে, তারা হামলার আভাস আগে থেকেই পেয়ে গিয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা একে “চতুর রণকৌশল” হিসেবে দেখছেন।
এদিকে, এই স্যাটেলাইট চিত্র নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—যুক্তরাষ্ট্রের হামলার উদ্দেশ্য, সময় ও কৌশল নিয়ে। যুদ্ধের পাশাপাশি এখন শুরু হয়েছে তথ্যযুদ্ধ, যার গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠছে উপগ্রহ থেকে পাওয়া এই সব চিত্র।